স্বদেশ ডেস্ক:
পদ্মা সেতু কারো পৈত্রিক সম্পত্তি না। অথচ মনে হয় যে তারা (সরকার) তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দিয়ে তৈরি করেছে। একজন তো বলছেন- বিএনপি ওপর দিয়ে যাবে না নীচ দিয়ে? মানে এটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি।
বিএনপি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবে না নিচ দিয়ে যাবে- তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে আজ সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমরা সব সময়ই উন্নয়নের পক্ষে। আমাদের দলই হলো উন্নয়নের দল, সৃজনশীলতার দল। আমরা কখনো কোনো নেগেটিভ রাজনীতি করি না। সব সময় পজিটিভ পলিটিকস করি। আমরা সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা, সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলি। সেটা বলতে গেলেই তাদের গায়ে লাগে।
তিনি বলেন, মানুষের পকেট কেটে কেটে সব নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি মানুষ এখানে ট্যাক্স দিচ্ছে। যেখানে এক টাকা সেখানে দশটাকা ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। ভ্যাটের পরিমাণ তিন/চার/পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। এখানে যেটা চলছে সেটা হলো উন্নয়নের নামে পুরোপুরিভাবে একটা লুটপাট। প্রত্যেকটা জায়গায় তারা এখন মুনাফা খোঁজে। বাড়িঘর বানাচ্ছে উড়াল সেতু বানাচ্ছে, মেগা প্রজেক্ট বানাচ্ছে। মেগা লুট করছে।
এই দেশের উন্নয়ন শুরুই হয়েছে বিএনপির সময়ে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, উন্নয়ন বলতে গুটি কয়েক মানুষের উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন বলতে সাধারণ জনগণের উন্নয়ন। উন্নয়নের ভিত্তি জিয়াউর রহমানের সময় শুরু হয়েছিল, সেই ভিত্তির ওপরেই এখন উন্নয়ন হচ্ছে। আজকে যে রেমিটেন্স আসছে, গার্মেন্ট শিল্প, কৃষি বিপ্লব সবই জিয়াউর রহমানের সময় শুরু হয়েছিল।
তিনি বলেন, আজকে চিকিৎসার অবস্থা ভয়াবহ, সরকারি হাসপাতালে গেলে দেখবেন কোনো রকমের চিকিৎসার সুযোগ নেই। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন না হলে পাবেন না। শিক্ষার অবস্থা কোথায় দাঁড়িয়েছে সেটা সবাই জানেন। দুর্নীতি কি হারে বেড়েছে। এখন তাদের দলের লোকেরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাচ্ছে। যুবলীগ-ছাত্রলীগ যে হারে টাকা পাচার করেছে, আওয়ামী লীগ নেতাদের কানাডা-মালয়েশিয়ায় বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে টাকা পাচার হচ্ছে। তার সাথে আমলারাও জড়িত। কিন্তু প্রকাশ হচ্ছে না। আজকে কোন সেক্টরটা ভালো আছে? বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।